ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাধারণ সম্পাদক (জিএস) এস এম ফরহাদ বলেছেন, যে কোনো ধরনের ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে ডাকসুর জিরো টলারেন্স নীতি কার্যকর করা হবে। তিনি বলেন, “যে-ই অপরাধী হোক, যত প্রভাবশালীই হোক, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তার শিকড় উপড়ে ফেলা হবে।”
শনিবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে রসায়ন বিভাগের শিক্ষক ড. এরশাদ হালিমের ‘বিকৃত যৌনাচার’-এর দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তব্য দেন তিনি।
ফরহাদ অভিযোগ করেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষ—দুই জায়গাতেই গাফিলতি ও উদ্দেশ্যমূলক উদাসীনতা দেখা গেছে। তিনি বলেন, “প্রমাণিত অপরাধের পরও বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব ছিল দ্রুত তদন্ত কমিটি গঠন করে রিপোর্ট প্রকাশ করা। আমরা সন্দেহ করছি—ডিপার্টমেন্ট বা সংশ্লিষ্ট কোনো শিক্ষক ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকায় পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।”
ডাকসুর সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মুসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদ বলেন, ড. এরশাদ হালিমকে গ্রেপ্তারের পর রাষ্ট্রের দায়িত্ব ছিল রিমান্ডে নিয়ে জবাবদিহি নিশ্চিত করা; কিন্তু রিমান্ড আবেদন না করায় এটি একটি ‘বৃহৎ ষড়যন্ত্র’ বলে আখ্যা দেন তিনি।
তিনি আরও দাবি করেন, জরুরি সিন্ডিকেট বৈঠক ডেকে অভিযুক্ত শিক্ষককে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করতে হবে, এবং ধর্ষণের একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত।
সমকামিতার বিরুদ্ধে আইন প্রণয়নেরও দাবি জানান তিনি এবং বলেন, “যারা সমকামিতার সঙ্গে জড়িত থাকবে তাদের বিরুদ্ধেও রাষ্ট্রকে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।”
